বঙ্গবন্ধু কাদের ষড়যন্ত্রে অকালে চলে গেলেন?


মঈনুল ইসলাম

বঙ্গবন্ধু ছিলেন তীব্র মানবতাবাদী, বাঙালি জাতীয়তাবাদী এবং সত্যিকার সাম্যবাদী। একজন মানুষ জাতীয়তাবাদ, সাম্যবাদ ও মানবতাবাদের যে পরিপূর্ণ অবয়ব হতে পারেন তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।


তিনি একই সঙ্গে গরিবের দুঃখে কাতর, সেই সঙ্গে তিনি সম্পদের সুষম বণ্টন চান, তিনি আইনের সমতা চান। এমন সমন্বয় বিশ্ব নেতৃত্বে বিরল। ঠিক এ কারণেই দেশের অভ্যন্তরের নষ্ট পুঁজির দাস, ভোগবাদী এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের ক্যাপিট্যালিস্ট হায়েনারা তার দিকে শকুনের দৃষ্টি দিয়েছিল। ওরা জানত, শেখ মুজিব যদি সদ্য স্বাধীন হওয়া বাংলাদেশকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেয় তবে বাংলাদেশকে কেউ পিছিয়ে ফেলতে পারবে না।

শেখ মুজিবের বাংলাদেশ এ বিশ্বে মাথাচাড়া দিয়ে উঠবেই। যে ব্যক্তি জাতিসংঘে ভরা মজলিসে বাংলা ভাষায় কথা বলেন, যে ব্যক্তি গরিবের জন্য গ্রামে গ্রামে সংগঠন ও সমবায় করতে চান, যে ব্যক্তি পুঁজিবাদের থাবাকে রুখে দিতে চান, যে ব্যক্তি দেশে বাইরের কোনো শক্তির নাক গলানো মেনে নেন না। সে ব্যক্তি বাংলাদেশকে বিশ্বের অর্থনৈতিক পরাশক্তি করতে এক দশকের বেশি সময় নেবেন না। তাই তার অগ্রযাত্রা থামিয়ে দিতে বিভীষণদের খোঁজে নামে ১৯৭১ সালে পরাজিত দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্তকারীরা। পেয়েও যায় দ্রুত।

জনগণের ঘামের টাকায় যে ইউনিফর্ম গায়ে দিয়েছিল কিছু সেনা কর্মকর্তা তারাই জনগণের প্রাণের নেতাকে হত্যা করে। বামপন্থী নামে পরিচিত সামরিক ও বেসামরিক ক্ষমতালোভীরা এক হয়। জনগণ ও বাংলাদেশের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে বর্তমান মেজর ও সাবেক মেজরের খুনি পাল। ডালিম, ফারুক, রশীদ, নূর, বজলুল প্রমুখ কুখ্যাত নামগুলো চিরকাল তাই ঘৃণার সঙ্গে উচ্চারিত হবে এই বাংলার আকাশে-বাতাসে, পথে-প্রান্তরে, ঘরে-বাইরে।

জাতীয়তাবোধসম্পন্ন মুজিব হত্যায় আন্তর্জাতিক চক্র কি এক হয়?

হ্যাঁ, হয়। হত্যা-পরবর্তী প্রতিক্রিয়া এবং খুনিদের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া থেকে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীরা সবাই ছিলেন সিআইএ, মোসাদ এবং আইএসআইয়ের চর এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যায়। সংবিধানে পঞ্চম সংশোধনী করে খুণিদের যারা ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্সের মাধ্যমে দায়মুক্তি দিয়েছে তারা বাংলাদেশের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। তারা ১৯৭১ এর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।

এবার আসা যাক কেন উল্লিখিত আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ষড়যন্ত্র করবে মুজিবের বিরুদ্ধে সে আলোচনায়। ১৯৪৭ সালে জন্ম নেয়া পাকিস্তান নামের সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রের সঙ্গে বাঙালিদের কোনো ধরনের বন্ধন কখনোই ছিল না।

১৯৭১ সালের ৭ মার্চের জ্বালাময়ী ভাষণে বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানকে কার্যত বাংলাদেশ থেকে প্রকাশ্যে ভিন্ন করে দেন। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ গ্রেফতারের আগে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। সে বছরের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ মাত্র ৯ মাসে স্বাধীনতা অর্জন করে। এ স্বাধীনতার স্থপতি ছিলেন বঙ্গবন্ধু। ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ ইত্যাদি স্লোগানের মাধ্যমে শেখ মুজিব যুদ্ধের সময়ও ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের কেন্দ্রবিন্দু।

স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রতিদিন তার রক্তঝরা ভাষণ প্রচার করা হতো “বজ্রকণ্ঠ” নামের অনুষ্ঠানে। পুরো ৯ মাস পাকিস্তানি হানাদারদের জেলখানায় তাকে মৃত্যুর ভয় দেখানোর পরেও স্বাধীনতাযুদ্ধ থামানোর ব্যাপারে কোনো বক্তব্য তাকে দিয়ে দেয়াতে পারেনি হানাদাররা।

এমনকি তার কারাকক্ষের সামনে কবর খুঁড়লেও মুজিব বাঙালির মুক্তিসংগ্রামের পক্ষে ছিলেন অবিচল। ফলাফল মাত্র ৯ মাসে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়। এই অভ্যুদয়কে পাকিস্তানিরা মেনে নিতে পারেনি। তাই মুজিব হত্যার ষড়যন্ত্র করতে থাকে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই।

সম্ভবত তাতে ফান্ডিং করে আমেরিকা বা মধ্যপ্রাচ্যের ইহুদিবাদী আল সৌদ পরিবার। আর এটি বাস্তবায়ন করে পাকিস্তানের প্রেতাত্মা কিছু অনিচ্ছাকৃত মুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তা। ১৯৭৪ সালে জুলফিকর আলী ভুট্টোর আগমন এই প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠীকে আরও সক্রিয় করে থাকতে পারে।

১৯৭৫ সালের আগস্টের কালরাতের পরপরই সৌদি আরবসহ কিছু দেশ স্বীকৃতি দেয় বাংলাদেশকে। এ থেকে কি আইএসআইয়ের সঙ্গে তাদের মতাদর্শিক সম্পৃক্ততা পাওয়া যেতে পারে কি? চীন কেন বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিল? স্বাধীনতার সময় বাংলাদেশের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়া চীনের এই আচরণ আজও বাংলার সচেতন নাগরিক ভোলেনি।

এবারে মোসাদের জড়িত থাকার সম্ভাবনার বিষয়ে দুটি কথা। বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি ছিলেন ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রকাশ্য সমর্থক। ফিলিস্তিনি নেতা ইয়াসির আরাফাতের সঙ্গে ছিল বঙ্গবন্ধুর গভীর বন্ধুত্ব। এ কারণেই বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ইহুদীবাদী ইসরাঈল বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়ার প্রস্তাবনা পাঠায় খন্দকার মুস্তাকের মাধ্যমে। কিন্তু মানবতাবাদী মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইসরাইলকে তো স্বীকৃতি দেননি, সঙ্গে বাংলাদেশকে ইসরাইলের দেয়া স্বীকৃতির প্রস্তাবকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেন।

১৯৭৩ সালে আরব-ইসরাঈল যুদ্ধে বঙ্গবন্ধু প্রকাশ্যে আরবদের তথা ফিলিস্তিনের সমর্থন করেন। একটি মেডিকেল টিমও বাংলাদেশ সেখানে পাঠায়।

বাংলাদেশের পাসপোর্টে এখনো লেখা থাকে ‘This passport is valid for all countries of the world except Israel'। এসব কারণে মোসাদ জাতির পিতা হত্যায় জড়িত থাকতে পারে। সে সময় বিশ্বে জনপ্রিয় ও আধিপত্যবাদকে চ্যালেঞ্জ করা নেতাদের হত্যা করত সিআইএ এবং মোসাদ। তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের ডালিম গংদের দিয়ে মোসাদ এই কাজ করিয়েছে কি না তা নিয়ে পর্যালোচনা হওয়া উচিত।

হালে দিল্লিতে বসে ইহুদি মেন্দি সাফাদির বঙ্গবন্ধু কন্যার সরকার উৎখাতের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু হত্যার নীলনকশা কোনো কাকতালীয় ঘটনা নয়। প্রতিবছর জাতিসংঘের ভরা মজলিশে ফিলিস্তিনি মুক্তি আন্দোলনের সমর্থনে প্রকাশ্যে ইসরাইলি বর্বরতার সমালোচনা করে আসেন বঙ্গবন্ধু তনয়া। তার বাবাও ইহুদিদের দালাল খন্দকার মুস্তাককে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন ইসরাইলের স্বীকৃতিপ্রাপ্তির কথা বলায়। খন্দকার মুস্তাক বেঈমানি করে, মুজিব হত্যা করে বাংলাদেশ ও বাঙালির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে তার বদলা নিয়েছে।

বঙ্গবন্ধু হত্যায় সিআইএ জড়িত থাকার ব্যাপারে কিছু প্রশ্ন

সর্বশেষ মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর মদদ ও সম্পৃক্ততা বিষয়ে আলোচনা করা দরকার। তখন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন সাংবাদিক লরেন লিফসুৎজ স্পষ্ট করে তার গ্রন্থ ‘Bangladesh: The Unfinished Liberation’-এ মুজিব হত্যাকাণ্ডে সিআইএর সম্পৃক্ততার কথা উল্লেখ করেন ইঙ্গিতে। সে সময়ে পৃথিবী এখনকার মত এক মেরুকেন্দ্রিক ছিল না।

পৃথিবীর ক্ষমতার বলয় দুভাগে বিভক্ত ছিল। একপক্ষে ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইসরাইল, পাকিস্তান, চীন এবং পশ্চিম ইউরোপ। অন্য বলয়ে ছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন, ভারত, ল্যাটিন আমেরিকা এবং পূর্ব ইউরোপ। বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে দ্বিতীয় বলয় তথা সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং ভারত পাশে দাঁড়ায়।

বিপক্ষে অবস্থান নেয় আমেরিকা ও চীন। স্বাধীনতার পরও বাংলাদেশ এই সাম্রাজ্যবাদবিরোধী সাম্যবাদী জোটের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়। ১৯৭৩ সালে জোটনিরপেক্ষ আন্দোলনের একটি সম্মেলনে যোগ দিয়ে বঙ্গবন্ধু সেই অমর বাণী উচ্চারণ করেছিলেন।

তিনি দ্ব্যর্থকণ্ঠে উচ্চারণ করেছিলেন, পৃথিবী আজ দুভাগে বিভক্ত। শোষক ও শোষিত। আমি শোষিতের পক্ষে। এই বক্তব্যে উদ্বেলিত ফিদেল ক্যাস্ত্রো সেদিন শেখ মুজিবকে জীবনের ব্যাপারে সাবধান হতে বলেছিলেন।

কারণ ‘১৯৫৯-১৯৬১ সালের কিউবান ক্ষেপণাস্ত্র সংকটের’ পর থেকে বিপ্লবী ফিদেল ক্যাস্ত্রো সিআইএ কর্তৃক বিরোধী মতকে হত্যাপ্রবণতা সম্পর্কে জানতেন। সে সময়ে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদবিরোধী নেতাদের গুপ্তহত্যায় নিয়োজিত ছিল সিআইএ (এখনো যা অব্যাহত। লিবিয়ার গাদ্দাফি, ইরাকের সাদ্দাম তার উদাহরণ)।

মিসরের জামাল আবদেল নাসের, আলজেরিয়ার আহমেদ বেন, ইন্দোনেশিয়ার সুকর্ণ, চিলির সালভাদর, বলিভিয়ার জুয়ান তোরিস এরা সবাই ১৯৭১-৮০ সালের মধ্যে আমেরিকার মদদপুষ্ট সেনাবাহিনী দ্বারা ক্ষমতাচ্যুত কিংবা নিহত হয়েছেন এবং সবাই মার্কিনপন্থী সরকার দ্বারা প্রতিস্থাপিত হন। তাহলে বাংলাদেশের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডে সিআইএর পরোক্ষ সহযোগিতা ছিল না, এ কথা কি বলা যায়?

যে ঘৃণ্য বেঈমান খন্দকার মোস্তাক বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হওয়ার পর পুতুল হিসেবে ক্ষমতায় আসে। সে ছিল পশ্চিমা তথা আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রপন্থী। সিআইএর সঙ্গে মোস্তাকের যোগসূত্র ছিল। এটা কি এত দিন পরে বলা যায় না?

এখানে উল্লেখ্য বঙ্গবন্ধু যখন ইসরাইলের স্বীকৃতি নিতে অস্বীকার করেন তখন এই নরপিশাচ মোস্তাকই ছিল পররাষ্ট্রমন্ত্রী। মোস্তাক গংই কি ইসরাইলি মোসাদ ও আমেরিকান সিআইএকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল বাংলাদেশে? সেখানে দাবার সৈন্য হিসেবে খেলেছিল অনেকেই। সত্যি বলতে সদ্য স্বাধীন হওয়া একটি রাষ্ট্রে কিছু উচ্ছৃঙ্খল উন্মাদ সেনা কর্মকর্তা বহিঃশক্তির মদদ ছাড়া কথিত অভ্যুত্থানের সাহস পাবে কোথা থেকে?

জাতির পিতার হত্যাকারীরা পরবর্তী সময়ে চীন, কানাডা, লিবিয়া, রোডেশিয়া (বর্তমানে জিম্বাবুয়ে) ইত্যাদি মার্কিন দেশে গিয়ে কি প্রমাণ করেনি যে সিআইএ আগস্ট হত্যার নীলনকশা করেছিল? আর তা বাস্তবায়ন করেছিল ঘরের শত্রু মীরজাফর আর বিভীষণরা। তাদের মধ্যে ছিল আর্মি, পাকপন্থী পলিটিশিয়ান আর কথিত কমিউনিস্ট। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ড যে কথিত প্রেক্ষাপটে হয়েছে বলে অনেকেই বলে তার স্রষ্টা হচ্ছে তৎকালীন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)।

এই জাসদের কর্ণধার কর্নেল তাহেরকে অনেকেই এখনো পূজনীয়ভাবে, এমন কি তারা আওয়ামী পন্থী নামেও পরিচিত। কিন্তু এই ব্যক্তি বাংলাদেশের স্থপতি হত্যায় সবচেয়ে অগ্রগণ্য ভূমিকা পালনকারীর একজন। নিজ ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে জিয়া ও তাহেরের ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বে তাহেরের পরাজয় যেন বঙ্গবন্ধু হত্যায় তাহেরে দায় এড়ানোর ক্ষেত্রে অনেকেই ব্যবহার করতে আগ্রহী। কিন্তু প্রকৃত ইতিহাস বলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ট্রেনিংপ্রাপ্ত তাহের ছিলের মার্কিন বলয়ের ক্রীড়ানক।

লরেন লিফসুৎজ নামের মার্কিন সাংবাদিক কেন তাহলে তাকেই অসমাপ্ত বিপ্লবের জনক বলবে? কিসের বিপ্লব? জনতার নেতাকে খুন করার পরিকল্পনা ও তৎপরতা কীভাবে বিপ্লব হতে পারে? এই তাহেরই বলেছিল ‘বঙ্গবন্ধুর লাশ বঙ্গোপসাগরে ভাসিয়ে দেয়া উচিত ছিল (দি ডেইলি স্টার, ১৫ আগস্ট, ২০১৪, Who Said What After August 15)।’

কত্ত বড় ধৃষ্টতা! বঙ্গবন্ধু হত্যায় সম্পৃক্ততার দায়ে জাসদের বিচার করে শুরু হবে? আমার বিশ্বাস, আজ হোক কাল হোক বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যার দায়ে জাসদের বিচার হবেই। আশা করি এর সঙ্গে নিষিদ্ধ করা হবে জামায়াতসহ সব স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে। (চলবে)

লেখক: মঈনুল ইসলাম

গবেষক, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর. সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, সাভার, ঢাকা

SUMMARY

129-1.jpg