বঙ্গবন্ধু

বঙ্গবন্ধু
টুঙ্গিপাড়ার দামাল ছেলে
মোর নয়নের মনি,
তোমার দিলে অাছে যেন
ভালবাসার খনি।
তোমার দিলে পাইছি মোরা
গোলাপ ফুলের ঘ্রাণ,
অভাবীকে বিলিয়ে দিলা
বাপের গোলার ধান।
টুঙ্গিপাড়ার দামাল ছেলে
মুজিব রহমান
তোমার প্রেমে সিক্ত জাতি
গাহে তোমার গান।
দেশ মাতাকে মুক্ত করতে
কষ্ট সইছো বেশ,
স্বপ্ন ছিল গড়তে তোমার
সোনার বাংলাদেশ।
বজ্রকন্ঠে ভাষণ দিয়া
মাতাল করছো দেশ,
ভীত হয়ে পাকহানাদার
যুদ্ধ করলো শেষ।
হৃদয়গ্রাহী ভাষণ দিয়া
জাগাইয়াছো সবে,
তিন তিরিকা নয় মাসে
স্বাধীন কেবা কবে?
অসহায়কে বুকে নিতে
ছুটছো সারা দেশ,
অবাক হয়ে বিশ্ব বলে
বেশ তো মুজিব বেশ।
বরিশালের শেরে বাংলা
নয়তো একা সের,
টুঙ্গিপাড়ার ছোট্ট খোকা
সেরে সোয়াসের।
বিশ্ব মাঝে এমন নেতা
মেলা বড় ভার,
টুঙ্গিপাড়ার বঙ্গবন্ধু
জাতির অহংকার।
তোমার মত দেশপ্রেমিক
নাই যে দেশে অার,
ছায়রা ছাড়া ক্ষণজন্মা
বীরসেনানী কার।
শেখের বাচ্চা শেখ তুমি
লুৎফুরেরি প্রাণ,
তোমায় দেখে চূর্ণ হোক
ভন্ড নেতার মান।
মুজিব তুমি জীয়নকাঠি
ইতিহাসে রয়,
সমস্বরে বলে জাতি
জয় বাংলা জয়।
নয়তো তুমি ধ্রুবতারা
নয়তো তারার হাসি,
৭ই মার্চে তোমার ভাষণ
প্রাণে বাজায় বাঁশি।
বয়েস যদি হত অামার
সংগ্রামেরি কালে,
কৃপান হাতে জয় বাংলা
বলতাম তালে তালে।
জীবদ্দশায় পাইনি তোমায়
লেখা যে নাই ভালে,
প্রেমের পরশ বুলিয়ে দিতাম
তোমার দুইটি গালে।
লায়েক যদি হতাম অামি
মুক্তিযুদ্ধের কালে,
ছেঁড়া -জুতো ছুঁড়ে মারতাম
পাক- লম্পটের গালে।
ঘোর বিপদে হাসছো তুমি
বিজয়েরি হাসি,
বঙ্গবাসী ধন্য হলো
তোমায় ভালবাসি।
জাতির জন্য সর্বত্যাগী
করছো ইহসান,
সঠিক পথে নিতে গড়ছো
ইসলামী ফাউন্ডেশান।
কোটি কোটি মুসলিম শিশু
খোদার কালাম পড়ে,
সেই উসিলায় অারশ থেকে
খোদার রহমত ঝরে।
হজ্জের পরে বড় জামাত
অানছে কোন বীরে,
তোমার স্মৃতি এজতেমা
তুরাগ নদীর তীরে।
পীর মাশায়েখ শ্রদ্ধা কর
পীরের মুখে শুনি,
খল নেতারা শুধু ছড়ায়
মিথ্যা কথার বুলি।
হানাদারের প্রেতাত্মারা
শুত্রুতার জাল বুনে,
তাদের নকল বাশির সুর
দেশবাসী না শুনে।
মীর্জাফরের দোসর তারা
দেশের সুখ না চায়,
ইমেজ হারাই এখন তারা
করে হায় হায়।
মুনাফেকি নীতি তাদের
অাম- জনতা জানে,
সেই কারণে তাদের কথা
কেহ নাহি মানে।
ধন্য মায়ের ধন্য ছেলে
মুজিব রহমান,
সোনার বাংলা গড়তে তোমার
অশেষ অবদান।
সোনার বাংলার সোনার ছেলে
মুজিব রহমান,
জাতির জন্য সইছো তুমি
জুলুম- অপমান।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু
মুজিব রহমান,
ঘাতক দলে নেতার বুকে
চালায় মেশিনগান।
জাতির পিতা মুজিব তুমি
তোমার মৃত্যু নাই,
জাতির হৃদে পাইছো তুমি
চিরস্থায়ী ঠাঁই।
শোক দিবসে তোমার স্মৃতি
স্মরি বারে বার,
অাল্লাহ ছাড়া মোদের সহায়
নাই যে কেহ অার।
তোমার তরে মাগফেরাতের
দোয়া সদা করি,
দেশপ্রেমের শরবত খেয়ে
যেন মোরা মরি।
তোমার কাছে ঋণী জাতি
সর্ব লোকে কয়,
সোনার বাংলা গড়লে মোরা
স্বপ্ন হবে জয়।
মিনি বাংলার মিনি কবি
নাম শাহাদাত,
সবার দোয়ায় অধম যেন
পাই নেক হায়াত।
দেশটা ছিল খালি ঝুড়ি
যুদ্ধ যখন শেষ,
সেই ঝুড়িতে মনি- মুক্তা
বেশতো মুজিব বেশ।
মুজিব তুমি জাতির পিতা
তুমি মোদের গর্ব,
হানাদারের দোসরেরা
গর্ব করে খর্ব।
স্বাধীনতার ঘোষক তুমি
তুমি জাতির গর্ব,
নরপশুরা গর্বটারে
সদা করে খর্ব।
ঝড়-ঝাপটায় অটল ছিলা
নত হওনি তুমি,
অবাক লাগে সেই কাহিনী
যখন স্মরি অামি।
ছয় দিনে জগত পয়দা
সবাই নাহি জানে,
ছয় দফাতে মুক্তির সনদ
শত্রুরা না মানে।
দেখতে নারলে চলন বাঁকা
প্রবাদ বাক্যে রয়,
দেশদ্রোহীদের গাত্রদাহ
মুজিব নামে হয়।
এগারো তো এগারো নয়,
একে একে হয়,
মুজিব নামে জাতির পিতা
যেন অমর রয়।
ঘোর বিপদে অটল ছিলে
নত হয়নি শির,
তাইতো তুমি জাতির পিতা
সেরা বঙ্গবীর।
বীজের ভিতর যেমনি ভাবে
চারা লুকাই রয়,
হৃদয় মাঝে জাতির পিতা
প্রেমের কথা কয়।
ফুলের মাঝে যেমনি ভাবে
গন্ধ গোপন রয়,
প্রেমিক দিলে জাতির পিতার
অাত্মা সওয়ার হয়।
রুপে বোকা,গুণে ধনী,
সর্বলোকে কয়,
গুনের জন্য বঙ্গবন্ধু
জাতির পিতা হয়।
চক্ চক্ করিলে কেবল
সোনা নাহি হয়,
খাঁটি সোনার ন্যায্য দাম
যুগে যুগে রয়।
পিতার দাবি করলে কেউ
পিতা নাহি হয়,
সত্যিকারের পিতা বনা
সহজ ব্যাপার নয়।
জাতির পিতা মুজিব তুমি
তোমার নাহি ক্ষয়,
সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন
জয় হবে নিশ্চয়।
বজ্রপাতে অটল ছিলে
হিমাদ্রীর মত,
অকথ্য যন্ত্রণা সইছো
লিখবো অামি কত।
পিতৃশোকের ক্ষতের মাঝে
ঔষধ দিব কত,
হাজার বছর গত হলো
শুকোয়নি যে ক্ষত।
তোমার শোক কলিজাতে
কাঁটা বিদার মত,
প্রশমিত হবে না গো
তদবির করি যত।
লেখক
মোঃ শাহাদাত হোসেন

SUMMARY

1203-3.jpg