“খোকা থেকে জাতিরজনক শেখ মুজিব”

একেএম করম আলীর কবিতা 

 
ছোট্ট একটি নাম বাংলাদেশের গোপালগঞ্জের টংগীপাড়া গ্রাম,                                           
  খোকা নামের শেখ মুজিব জন্ম নেওয়ার কারণে বিশ্ব ব্যাপি এ গ্রামের ছড়ালো সুনাম।
উনিশশত বিশ সালে সতেরই মার্চ শেখ লুৎফর রহমান ও সায়রা খাতুনের ঘর আলো করে এসেছিলেন যিনি,
খোকা থেকে শেখ মুজিব, বঙ্গবন্ধু মুজিব, জাতিরজনক শেখ মুজিবে পরিনত হয়েছেন আজ তিনি।

শিশুকাল থেকেই খোকা মুজিব ছিলেন অন্যায় অবিচারের প্রতিবাদী কন্ঠ,
মহাভারত মুক্তিতে বৃটিশ বিরোধী আন্দোলন সংগ্রামে ডুবে থাকতেন আকন্ঠ।

ছাত্রযুব রাজনীতি থেকে রাজনীতিতে মুজিব হয়ে উঠেন সোহরাওয়ার্দী, হক-ভাসানীর যোগ্য শিষ্য,
পাক-ভারত সৃষ্টির কঠিন সময়ে রাজনীতি থেকে তিনি হননি কখনো অদৃশ্য।

পাকিস্তান-ভারত স্বাধীনতা পেলো বৃটিশ গেল মহাভারত ছেড়ে,
নব্যস্বাধীন পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠী ধীরে ধীরে পূর্ববাংলার বাঙালির উপর উঠলো তেড়ে।

প্রথম আঘাত হানলো তারা বায়ান্নতে বাঙালির মাতৃভাষা বাংলার উপর,
চাপালো রাজনৈতিক,আর্থ সামাজিক ও প্রশাসনিক বৈষম্যের কালো পাথর।

শুরু হলো প্রতিবাদ বাঙালির পক্ষে নেতৃত্ব দিলেন শেখ মুজিব নেতা বাঙালির,
জেল জুলুম আর অত্যাচারে দমাতে পারনি তাকে রাজপথের দাবী ও অধিকার।।

পূর্ব বাংলায় ডজন ডজন নেতা ছিলেন প্রতিবাদী ছিলেন না কেউ। নতজানু আর আপোষ কামিতায় থাকতেন চুপ,
অন্যায়,অবিচারের প্রতিবাদী কন্ঠ হয়ে বাঙালির অধিকার আর স্বাধীকারের দাবী করতেন শেখ মুজিব।

টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া,রুপসা থেকে পাথুরিয়া এক নামে ডাকতো তাঁকে সবাই মুজিব ভাই,
স্বাধীনতার চুড়ান্ত দাবী ছয়দফা দিয়ে নেতা পশ্চিমাদের সাথে শুরু করলেন লড়াই।

ছয়দফার কারণে নেতা শেখ মুজিবের দেশদ্রোহী মামলায় ফাঁসির রায় হয়,
উনসত্তুরে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যূত্থাণে প্রেসিডেন্ট আইউব খান তাঁকে বিনাশর্তে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়।

মুক্ত শেখ মুজিব পল্টনের ছাত্র জনতার সভায় শেখ মুজিব থেকে বংগবন্ধু শেখ মুজিব উপাধী পান,
সত্তুরের নির্বাচণে একচ্ছত্র বিজয়ী মুজিব একাত্তুরের মার্চে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করে জাতির জনক হন।

লেখকঃ একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা

SUMMARY

1179-1.jpg