বঙ্গবন্ধুর অসম নেতৃত্ব অবিদিত ইতিহাস


অধ্যাপক ড. শরীফ এনামুল কবির

বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্বপ্ন পুরুষ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। লাল-সবুজের পতাকার ইতিহাসে বাংলাদেশ আর বঙ্গবন্ধু নামটি অবিচ্ছেদ্য। হাজার বছরের বাঙালির ইতিহাস পরাধীনতার গøানিময়। পরজারিত শোষণ-পীড়ন, আধিপত্য মেনে নিয়েই বাঙালি সমাজ ও সংস্কৃতি বিকশিত হয়েছে। সেই বিকাশের ইতিহাসে ধর্মীয় ভাব-আন্দোলন থাকলেও স্বাধীনতার প্রশ্নটি ছিল অকল্পনীয়। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনকালে সশস্ত্র বিপ্লবের মাধ্যমে ভারতবর্ষ স্বাধীন করার প্রচেষ্টা থাকলেও বাংলা ও বাঙালির স্বাধীনতার প্রসঙ্গটি তাতে স্থান পায়নি। পেয়েছে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর চেতনায়।

১৯৪৭ সালে ধর্মীয় জাতিসত্তার ভিত্তিতে দেশ বিভক্তি ঘটে। এতে বাংলাদেশ অংশের ভাগ্যে অন্ধকারাচ্ছন্ন ভবিষ্যতের উপলব্ধি কেবলমাত্র তিনিই উপলব্ধি করেছিলেন। পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় কাঠামোতে শাসিত সময়ের স্রোতের সঙ্গে সবার মধ্যে বঙ্গবন্ধুর সেই উপলব্ধির বিস্তৃতি ঘটে। সবার সে উপলব্ধি নিজের চেতনায় মিশিয়ে পরবর্তীকালে স্বাধীনতার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন তিনি। ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর স্বতন্ত্র চেতনার বাস্তবায়ন ঘটে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের মধ্য দিয়ে।

বঙ্গবন্ধুর সমগ্র রাজনৈতিক কর্মপ্রক্রিয়া ছিল বাংলার গণমানুষকে ঘিরে। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন, পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা এবং পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর পশ্চিম পাকিস্তানের কায়েমী শাসকদের বিশ্বাসঘাতকতা প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামের অভিজ্ঞতা থেকে তিনি বুঝতে পারেন এ দেশের জনগণের সঙ্গে তাদের শাসক গোষ্ঠী ও সহযোগী শক্তি বরাবর অমানবিক আচরণ করে আসছে। আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে দাবি আদায় সাময়িক সমাধান এনে দিতে পারে। স্থায়ী সমাধান সম্ভব একমাত্র ভৌগোলিক ও রাজনৈতিক-শাসনতান্ত্রিক স্বাধীনতা লাভের মধ্য দিয়ে। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন বা স্বাধিকার আন্দোলন এবং ১৯৬৬ সালের ছয় দফা তার উল্লেখযোগ্য দৃষ্টান্ত। উল্লেখ্য, আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে দেশব্যাপী যে গণসচেতনতা, জাতীয়তাবোধ ও রাজনৈতিক চেতনা আপনামর জনসাধরণের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছিল তার প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি মেলে ১৯৭০-এর জাতীয় নির্বাচনে।

চলমান প্রেক্ষিত আর বাস্তবতার নিরিখে নেতৃত্ব দিতে হয় কাউকে। কিন্তু প্রজ্ঞা আর দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতার অভাব থাকে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই। পদ্মা, মেঘনা, যমুনা বিধৌত এ ব-দ্বীপের সৌভাগ্য বঙ্গবন্ধুর মতো স্বাধীনচেতা ও দূরদর্শী নেতার সংস্পর্শ পাওয়া। বঙ্গবন্ধু কেবল দেশের একজন বড় মাপের নেতা ও রাজনীতির একজন মহানায়কই শুধু ছিলেন না, তিনি ছিলেন ‘ইতিহাসের মহানায়ক’।

অসাধারণ নেতৃত্বের গুণাবলির স্বতঃস্ফূর্ত বিকাশ সে সময় আর কারো মধ্যে দেখা যায়নি। এমনকি বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার আগ পর্যন্ত বাংলাদেশ সে নেতৃত্বের অভাব বোধ করেছে গভীরভাবে। ব্রিটিশ শাসন থেকে বের হয়ে আসার জন্য পূর্ব বাংলায় মাস্টারদা সূর্যসেন, নেতাজী সুভাষ বসুসহ অনেকেই চেষ্টা করেছেন। সূচনা করেছেন সশস্ত্র সংগ্রামেরও। কিন্তু তা অসময়োচিত, অপরিকল্পিত হওয়ায় এবং এতে সাধারণ জনগণকে সম্পৃক্ত করতে না পারায় তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন হয়নি। সফল হয়নি সে সব আন্দোলন। বঙ্গবন্ধু পেরেছিলেন। তিনি মাটি ও মানুষের নেতা ছিলেন বলেই বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্বপ্নটি সত্য হয়েছিল। রাজনৈতিক-সামাজিক ধারাবাহিক বিবর্তনের মধ্য দিয়েই বঙ্গবন্ধু ইতিহাসের মহানায়কের এই অবস্থানে উত্থিত হতে পেরেছিলেন। দেশ, দেশের মানুষ ও রাজনীতি ব্যাপারে তাঁর ভাবনা-চিন্তা, আদর্শবোধ-জীবনদর্শন ইত্যাদি অনুষঙ্গ আত্মপরিচয়ের মৌলিক উপাদানগুলো ক্রমান্বয়ে বিকশিত হয়েছে। তার সার্বিক বিবর্তনের গতি ছিল সামনের দিকে, প্রগতি অভিমুখে। তিনি ছিলেন সাধারণ মানুষের লোক, ছিলেন জনতার নেতা। মানুষের কাছ থেকে তিনি গ্রহণ করতে পারতেন, বিচার-বিবেচনার রসদ সঞ্চয় করতে পারতেন। সব বিষয়ে শেষ ভরসা করতেন মানুষের ওপরে। মানুষের ওপর, জনতার ওপর তাঁর এহেন অপার ভালোবাসা ও নৈকট্যই তাঁর ক্রমবিবর্তনের প্রগতিমুখীন হওয়াটাকে অবশ্যম্ভাবী করে তুলেছে।

টুঙ্গিপাড়ার খোকা মিয়া শুরুতে ছিলেন দুরন্ত কিশোর, উদ্যমী তরুণ। গ্রামের মুরব্বিদের কাছে মুজিবর, কিশোরদের সম্ভাষণ ছিল মুজিব ভাই। এরপর মুজিবুর রহমান, অথবা শেখ মুজিবুর রহমান। তারপর বহুদিন ধরে মানুষের মুখে মুখে তার নাম ছিল ‘শেখ সাহেব’। ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের পর নতুন পরিচয় ‘বঙ্গবন্ধু’। একাত্তরের পর তিনিই স্বাধীন দেশের স্থপতি ‘জাতির পিতা’। তিন দশক সময়কালের মধ্যে এভাবেই ঘটেছিল তার অবস্থানের উত্তরণ।

সময়ের প্রয়োজনে যোগ্য নেতৃত্ব রাখা বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবন ছিল তিন দশকের। শুরুটা ছিল পাকিস্তান আন্দোলনের ছাত্র-কর্মী হিসেবে। তবে তাঁর মধ্যে উদারনৈতিকতা আর প্রগতিশীলতা কাজ করত সে সময় থেকেই। সময়ের পরিক্রমায় কংগ্রেস, মুসলিম লীগ, কমিউনিস্ট- এই তিন দলের ঝাণ্ডা নিয়ে নানা কর্মসূচিতে সঙ্গী-সাথী-অনুগামীসহ তিনি ছিলেন একজন উৎসাহী যৌবনদীপ্ত অংশগ্রহণকারী। তবে রাজনীতির হাতেখড়ি থেকেই তার মাঝে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের প্রতি গভীর মনের টানের উন্মেষ ঘটে। সঙ্গে সঙ্গে অসা¤প্রদায়িক বোধের জাগরণ।

পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকেই বঞ্চনার শিকার হতে শুরু করে বাঙালিরা। বাংলা ভাষার ওপর আঘাত, মুসলিম নেতৃত্বের আসীনে প্রতিক্রিয়াশীলদের আসীন ইত্যাদি ঘটনায় অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি এর নেতিবাচক ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আঁচ করতে পেরেছিলেন। নেতৃত্বের স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্যেই সাধারণ কর্মচারীদের দাবি নিয়ে সংগ্রাম শুরু করেন। কারাবরণ করেন। মুসলিম লীগের প্রতিক্রিয়াশীল কর্মকাণ্ডের সঙ্গে উদারপন্থী চেতনা নিয়ে থাকতে পারেননি। প্রতিবাদ করেন। পরবর্তীতে ভাসানী-সোহর্ওায়ার্দীর নেতৃত্বে গঠিত আওয়ামী লীগের একজন প্রধান সংগঠক হয়ে ওঠেন। কিশোর নেতৃত্বে অল্পদিনেই সর্বস্তরের মানুষের কাছে অতি পরিচিত হয়ে ওঠেন। সাধারণদের কাছেও ছিলেন ব্যাপক জনপ্রিয়। প্রাদেশিক মন্ত্রিসভায় তিনি দুইবার মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।

রাজনৈতিক অস্থিরতা আর নেতাদের দায়িত্বহীনতায় তিনি বুঝতে সক্ষম হন, বাঙালির অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হলে দলীয় সিদ্ধান্ত কিংবা নেতাদের ইচ্ছার ওপর নির্ভর করা ঠিক হবে না। দলের ভিন্নরূপ সিদ্ধান্ত সত্ত্বেও এসেমব্লিতে ন্যাপ উত্থাপিত স্বায়ত্তশাসনের প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভোট দিতে তিনি অস্বীকৃতি জানান।

আইয়ুবী সামরিক শাসনের সময় বাঙালির স্বার্থ আদায়ে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেন। সে সময়ই তিনি দেশের স্বাধিকারের জন্য স্বক্রিয় চিন্তা-ভাবনা শুরু করেন। রাজনৈতিকভাবে স্বাধীনতার ভিত্তি তৈরিতে নিরলস পরিশ্রম শুরু করেন। ১৯৬৬ সালে স্বায়ত্তশাসনের দাবিকে সামনে রেখে বাঙালির স্বাধিকারের জন্য ৬ দফা দাবি পেশ করে আন্দোলনে নেমে পড়েন। দৃঢ়চেতাভাবে এগিয়ে যেতে থাকেন। বাঙালির স্বার্থে, দেশের নতুন স্বাধিকারের জন্য তিনি অপ্রতিরোধ্য আন্দোলন শুরু করেন। পাকিস্তানিদের দীর্ঘদিনের প্রাসাদ ষড়যন্ত্র, ‘আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা’ সমসাময়িক আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের স্বাধীনতার অপরিহর্যতা তুলে ধরাসহ সামগ্রিক বিষয়টি অত্যন্ত বিচক্ষণতার সঙ্গে বিবেচনায় নিয়েছিলেন তিনি। এই ৬ দফা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দলমত নির্বিশেষে দেশবাসী তাঁর পেছনে সমবেত হতে শুরু করে। তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়। সরকার মরিয়া হয়ে তার বিরুদ্ধে ‘আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা’ দিয়ে শেখ মুজিবকে থামিয়ে দিতে চান। ইতিহাসের পক্ষে এবং ইতিহাস সৃষ্টির মতো প্রজ্ঞা, প্রত্যয় ও দক্ষতাসম্পন্ন নেতৃত্বের কাছে হার মানে সব ষড়যন্ত্র। তাঁর বিরুদ্ধে সরকারের প্রতিটি ষড়যন্ত্র তাঁকে নেতা হিসেবে পাকা আসন গড়তে সহায়ক হয়ে ওঠে। তাঁর জনপ্রিয়তা অদ্বিতীয় উচ্চতায় উঠে যায়। হয়ে ওঠেন বাঙালির একক ও অবিসংবাদিত নেতা। রচিত হয় ঐতিহাসিক ১১ দফা। সংঘটিত হয় ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান। মুক্ত হয়ে আসেন মহানায়ক। হয়ে উঠেন বাঙালির জননন্দিত নেতা, হয়ে উঠেন ‘বঙ্গবন্ধু’।

১৯৭০-এর নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে তার দল স্মরণকালের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বিজয়ী হয়। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের অভাবনীয় সাফল্য ও বিজয় বঙ্গবন্ধুকে বাঙালির অবিসংবাদিত নেতার স্বীকৃতি এনে দেয়। জাতির অভিভাবক হিসেবে যেকোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার অর্জন করেন। সেই ক্ষমতা বলেই তিনি তৎকালীন পাকিস্তানি সামরিক স্বৈরশাসক ইয়াহিয়া খান ও পশ্চিম পাকিস্তানের পিপলস পার্টি নেতা জুলফিকার আলী ভুট্টোর সঙ্গে বাঙালির অধিকার আদায়ের জন্য বিতর্কে অবতীর্ণ হন। পাকিস্তানের তৎকালীন নেতাদের কাচে বঙ্গবন্ধুর অনমনীয়তার অর্থ পরিষ্কার হয়ে যায়। তারা বুঝতে পারেন পূর্ব পাকিস্তানের আপামর বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে ভোট দিয়ে কেবল জয়যুক্তই করেনি, তারা বঙ্গবন্ধুর শক্তি। যে কোনো মূল্যে তারা বঙ্গবন্ধুর নির্দেশ পালন করবে। তাই সশস্ত্র আক্রমণের ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রে তারা মেতে উঠেন। ষড়যন্ত্রের যাবতীয় বিষয় বঙ্গবন্ধু উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন।

জাতীয় পরিষদের বৈঠক বাতিল করা হয়। তীব্র প্রতিবাদে গর্জে ওঠে সমগ্র বাঙালি জাতি। বঙ্গবন্ধু জনতার ক্রোধ ও স্বাধিকারের প্রত্যয়কে ধারণ করে জাতিকে স্বাধীনতার সংগ্রামের পথে এগিয়ে নেন। ৭ মার্চের ভাষণে তিনি বলেন, ‘এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’। ‘তোমাদের যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করো’। সে ভাষণ ছিল সংগ্রামের প্রারম্ভিকা। ছিল মুক্তির সূচনা। এ ভাষণ একটি জাতির উন্মুখ চেতনাকে স্বাধীনতার যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে উদ্বুদ্ধ করেছিল। স্বাধীনতার ৪৫ বছর পর পরও যার আবেদন এতটুকু ¤øান হয়নি। মহাসাগরের গর্জন যার শব্দের ধ্বনি তরঙ্গে কল্লোলিত। এখনো জীবন্ত মনে হয়। এ কণ্ঠ কাঁপিয়ে দিয়েছিল সমগ্র দুনিয়ার মুক্তিকামী মানুষকেও। তাই বিশ্বের বড় বড় জননেতাকেও ছাড়িয়ে গেছেন বঙ্গবন্ধু। সামরিক-বেসামরিক পর্যায়ে চাকরিজীবী ও সাধারণ মানুষের অনেকেই এই ভাষণ শুনে শিহরিত হয়েছেন। সিদ্ধান্তে পৌঁছে গেছেন বাংলাদেশ আর পাকিস্তানের গণ্ডিববদ্ধ নেই। আনুষ্ঠানিক স্বাধীনতাপ্রাপ্তি সময়ের ব্যাপার মাত্র। এই ভাষণ শোনার পর থেকে যে রক্ত আগুন জ্বলে উঠে বাঙালির শিরায় শিরায়, সেই থেকে নতুন উদ্যমে ঝাঁপিয়ে পড়ে বাঙালিরা অহিংস অসহযোগ আন্দোলনে। চূড়ান্ত নির্দেশের অপেক্ষার পর এল ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরের ঘোষণা। স্বাধীনতার পথে বাঙালির যাত্রার শীর্ষ পর্যায়ের ও প্রত্যক্ষ অধ্যায়ের সূচনা সেখান থেকেই। বঙ্গবন্ধু হয়ে উঠলেন স্বাধীনতার জন্য জাগ্রত জাতির ঐক্যের প্রতীক। স্বাধীনতার স্থপতি। জাতির জনক। ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের আকাশে পতপত করে ওড়ে লাল সবুজের নতুন পতাকা। দেশ হয় হানাদার মুক্ত হয়। ইতিহাসের চাহিদা অনুযায়ী জনগণকে জাগিয়ে তুলে, জাগ্রত জনগণের গণবাণীকে সঠিক রূপে প্রতিফলিত করে বঙ্গবন্ধু হয়ে উঠেন ইতিহাসের নায়ক। বাঙালি ইতিহাসের মহানায়ক।

SUMMARY

1167-1.png