নাহিদা আশরাফী
একটা নির্ঘুম ভয়াল রা, প্রতিপদে শ্বাপদ সংকট।
মৃত্যু সংগীত, যতি চিহ্নহীন মুমূর্ষু কবিতা।
আবর্জনার মতো কিছু ব্যর্থতার স্ত‚প
আর কিছু আহত পাখি-
পরম মমতায় তুলে নিলে কাঁধে।
ধীর অথচ দৃপ্তপায়ে হেঁটে হেঁটে এসে থমকে দাঁড়ালে
এক বন্ধা ক্যানভাসের আগে।
তোমার আঙুলের জাদুকরী সান্নিধ্যে ক্যানভাস দুলে দুলে
ছেয়ে গেল অসীম সবুজে।
এক নিপুণ শিল্পীর মতো একে একে জুড়ে দিলে
সাগর, নদী, বনবীথিকা, ছোট ছোট ঘর, উঠোন,
ক্ষেত, মাচা, নিশ্চিন্ত গৃহস্থালি।
নীলের প্রলেপ মাখাতেই বিবর্ণ ফ্যাকাশে আকাশ
ফিরে পেল তার নিজস্ব রঙ।
ভয়াল রাতে জ্বেলে দিলে কিছু আশ্চর্য আলোর জোনাকি।
মৃত সংগীত পেল নবারুণ সুর।
আহত কবিতারা হলো নবযৌবনা-রূপ পেয়ে প্রতিবাদী স্লোগানের।
ডানা ভাঙ্গা পাখির পাখায় এটে দিলে স্বাধীন পালক।
তোমার আঙুল আরও এঁকে চললো-গোলা ভরা ধান,
রাখালের বাঁশী, নৌকার মাঝি, শুভ্র শাপলা….আরও কত কি!
আকাশের কাছাকাছি লাল সবুজের সূর্য একে
লিখে দিলে একটি নাম- বাংলাদেশ।