রহীম শাহ
যতদিন এই দেশের মাটিতে
একটি মানুষ থাকবে
১.
যতদিন এই দেশের মাটিতে
একটি মানুষ থাকবে
ততদিন ধরে বঙ্গবন্ধু--
তোমাকেই মনে রাখবে।
পাখিদের গানে, বাতাসের সুরে
তোমার নামটি আসে ঘুরে ঘুরে
সাগর-নদী ও ঝরনাধারায়
চিরদিন তুমি ভাসবে
দূর থেকে দূরে ঘুরে ঘুরে ঠিকই
ফিরে ফিরে তুমি আসবে।
এ দেশের মাঠ এ দেশের বন
তোমাকেই নিয়ে ভাবে সারা¶ণ
নীল আকাশের তারা হয়ে তুমি
সবার হৃদয়ে ফুটবে,
তোমার নামেই মানুষ ঘুমাবে
তোমার নামেই উঠবে।
২.
যাচ্ছি হেঁটে দৃপ্ত পায়ে
সামনে খোলা মাঠ
আজকে হবে হাওয়ায় হাওয়ায়
নতুন দিনের পাঠ।
যতই আসুক বিঘ্ন-বাধা
সামনে পড়ুক গোলকধাঁধা
যার মাথাতে বীরের মুকুট
সে কি কভু থামে?
মুষ্ঠি-তোলা শপথ আছে
শেখ মুজিবের নামে।
বাদ্যি বাজুক তাকধিনাধিন
দেশ করেছি মুক্ত-স্বাধীন
হাজার বছর টিকে আছি
সঙ্কটে সংগ্রামে,
সামনে বিশাল মহাসড়ক
শেখ মুজিবের নামে।
৩.
খুকু দেখে খেলার ঘরে
সবই আছে থরে থরে
কিন্তু কেমন লাগছে যেন
কী যেন কী নেই।
বর-পুতুলের সঙ্গে
অন্যরকম ঢঙ্গে
কনে আছে দাঁড়িয়ে
হাত দুখানা বাড়িয়ে।
পাশে একটি পালকি আছে
বিলি আছে দুটো
মাটির হাঁড়ি-পাতিল আছে
কলসি আছে ফুটো।
জামা আছে শাড়ি আছে
পেলাসটিকের গাড়ি আছে
এত আছে কিন্তু সাথে
কী যেন কী নেই।
হঠাৎ খুকু লাফিয়ে উঠে
ছুটে গেল ঘরে
একটি জিনিস নিয়ে আসে
আদর করে করে।
অন্ধকারে হঠাৎ যেন
আলোক ছড়ায় রবি
খুকুর খেলার ঘরে এখন
শেখ মুজিবের ছবি।
৪.
একটি আকাশ বিশাল আকাশ
মাথার উপর দাঁড়িয়ে
সেই আকাশে পাখির মতো
আমিও যাই হারিয়ে।
তারার মেলা লোপাট করে
রং জড়িয়ে পালকে
আধার ঘেরা পৃথিবীকে
চাই নিতে চাই আলোকে।
একটি সাগর বিশাল সাগর
সামনে আছে দাঁড়িয়ে
সাগরটাকে কাছে পেতে
হাত দিয়েছি বাড়িয়ে।
সাগর বুকে হারিয়ে যেতে
ফের যদি পাই মওকা
ভাসিয়ে দেব মুক্তো ভরা
শেখ মুজিবের নৌকা।
লেখক: শিশুসাহিত্যিক