কবির কল্লোল
দেয়ালে শোক টাঙিয়ে রেখে
আমরা অংক কষি-
স্লোগানের অনুপাতে ভুরিভোজের পরিমাণ নিয়ে।
কেউ কেউ প্রতিভা দেখিয়ে
কুড়িয়ে নেয় পয়সাকড়ি, কেউ কেউ নৈকট্য খুঁজে
পুজে যায় পারিবারিক পদযুগল।
কেউ কেউ আমার মতো নিরীহ ছন্দের দোল
কবিতায় তুলে নিয়ে মিছিমিছি কাঁদে।
ব্যানারের বাজার চড়চড় ক’রে বেড়ে যায়।
কেউ গান করে। কেউ বাজায়।
পাতিনেতার পকেট ফুলে টেপামাছ,
কালোব্যাজের পয়সা বাঁচিয়ে রাতে তার পানের পসরা।
এখন তো ফেসবুকই কান্নায় ভরা
নানাবিধ ইমোকটিনে। কান্নাতেও উৎসব
কান্নার আয়োজনে ঘটা ক’রে ভাড়া করে বীণা
উৎসব! উৎসব দেখি। শোক তো দেখি না।